
Description
আমাদের হিন্দু ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে ‘বেদ’, আর বেদের নির্যাস হচ্ছে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। ভারতীয় পারমার্থিক বিজ্ঞানের মুকুটমণি-স্বরূপ এই বাংলা ভগবদগীতা যথাযথ সমগ্র বিশ্বব্রহ্মান্ডে খ্যাতি লাভ করেছে। আত্ম-উপলব্ধির পথপ্রদর্শক এই গীতার সাতশো শ্লোক পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর অন্তরঙ্গ ভক্ত অর্জুনকে উপদেশ করেছিলেন। বাস্তবিকপক্ষে, মানুষের অপরিহার্য প্রকৃতি, তার পরিবেশ এবং সর্বোপরি ভগবানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আদি রহস্যোদঘাটনে এই গ্রন্থটি অতুলনীয়। বৈদিক জ্ঞানের বিদগ্ধ পন্ডিত ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুদ্ধ ভক্ত কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ থেকে আগত গুরু-পরম্পরা ধারায় অবস্থিত তত্ত্বদর্শী সদগুরু। তিনি শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ কোন রকম বিকৃতি না করে যথাযথভাবে পরিবেশন করেছেন, যা গীতার অন্যান্য সংস্করণ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
যখন সন্দেহ আমাকে ঘিরে ধরে, হতাশা সম্মুখে উপস্থিত হয় আর আমি দূরান্তে কোন আশার আলোক দেখতে পাই না, তখন ভগবদগীতা আশ্রয় করে শান্তি পাওয়ার মতো কোন শ্লোক খুঁজে পাই। সঙ্গে সঙ্গে আমি অত্যন্ত দুঃখের মধ্যে হাসতে আরম্ভ করি। যাঁরা গীতার ওপর ধ্যান করবেন, তাঁরা প্রতিদিন পরম আনন্দ ও নব নব অর্থ পাবেন।
-মহাত্মা গান্ধী